ভুয়া খবর: চাপ বাড়ছে ফেইসবুকে
ভুয়া খবর প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুককে চাপ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারধারীরা। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজিত হয়।
আলোচিত বিষয়টি ফেইসবুকের জন্য শুধুই ‘ভুয়া খবর’ কিন্তু শেয়ারধারীদের জন্য এটি বাস্তব সমস্যা, বলা হয়েছে বিবিসি-এর প্রতিবেদনে।
ভুয়া খবর প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানটি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ সভায় শেয়ারধারীরা আরও বিস্তারিত জানানোর দাবী করেন। তারা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির দাবী তোলেন।
প্রস্তাবটি অবশ্য পাশ হয়নি এবং ‘এমনটাই হওয়ার কথা ছিল’- বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। বার্ষিক সাধারণ সভায় বেশিরভাগ ভোটই ছিল প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গের নিয়ন্ত্রণে।
সভায় বলা হয়- “এমন একটি প্রতিবেদন অপ্রয়োজনীয় এবং এতে প্রতিষ্ঠানের কোনো লাভ নেই”।
নিজের বক্তৃতায় অবশ্য জাকারবার্গ আলোচিত বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দেন। এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে জানান যার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন থেকে স্প্যামারদের আয় আরও কঠিন করে তোলার বিষয়টি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় তারা নিউজ ফিড নিয়ে আরও পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং সন্দেহজনক পোস্ট নিয়ে যাতে সহজে অভিযোগ করা যায় সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পোস্ট পর্যবেক্ষণ করতে আরও তিন হাজার কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেন জাকারবার্গ।
জাকারবার্গ তার বক্তৃতায় বলেন তার প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আরো বেশি বিনিয়োগ করবে। তবে, এই প্রযুক্তি “এখনও ওই পর্যায়ে যায়নি।”
“এই সমস্যা সমাধানের সঠিক উদ্যোগ হলো তথ্যের সঙ্গে আরও বেশি তথ্য দিয়ে লড়াই করা।” যোগ করেন ফেইসবুক প্রধান।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায় ফেইসবুক। দেখা গেছে প্রচুর সংখ্যক ভুয়া সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে এর মাধ্যমে।
অর্জুনা ক্যাপিটালের নাতাশা ল্যাম্ব, যিনি ভুয়া সংবাদ বিষয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন, তিনি বলেন, ফেইসবুক নিজেকে নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাবী করতে পারে না। ফেইসবুক যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে সে বিষয়ে তার মন্তব্য হলো- “খুবই দেরিতে খুবই সমান্য”।
বিনিয়োগকারীরা দেখতে চান যে ফেইসবুক ভুয়া সংবাদ, অতিরঞ্জিত তখ্য এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের বেলায় ক্রমশ দায়িত্বশীল আচরণ করবে।
প্রাথমিকভাবে জাকারবার্গ অস্বীকার করেন যে ফেইসবুক নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারের প্রচারণার চেষ্টা করা হয়েছে বলে লক্ষ্য করেছেন তারা।
সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রতিষ্ঠানের নেতারা স্বীকার করেন যে ভুয়া খবর আসলেই ব্যবহারকারীর জন্য বাধা। বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়ে আরও ঘোষণা পাওয়ার আশা করতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়।
No comments:
Post a Comment